গুহায় পানি বেড়ে যাওয়ার ভয়ের কারণে উদ্ধারকারীরা রবিবার বিপজ্জনক অভিযানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ডুবুরিরা থাম লুয়াং গুহায় থাকা ১২ কিশোর ও তাদের কোচকে অন্ধকার এবং পানিতে নিমজ্জিত পথ ধরে বাইরে নিয়ে আসার কাজ করছেন।
তাদের দলবদ্ধভাবে উদ্ধার করা হচ্ছে। অভিযানে কত সময় লাগতে পারে তা পরিষ্কার নয়।
গত সপ্তাহ থেকে বিপুল সংখ্যাক স্বেচ্ছাসেবী ও গণমাধ্যমকর্মী গুহার মুখে জড়ো হন। তবে রবিবার সকালে সাংবাদিকদের রাস্তার দিকে চলে যেতে বলা হয়। যার ফলে উদ্ধার অভিযান যে শুরু হতে যাচ্ছে তার জল্পনা শুরু হয়ে যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নারুংসাক ওসুতানাকর্ন জানান, ছেলেদের বের করে আনতে ১৮ জন ডুবুরি রওনা দিয়েছেন।
আটকা পড়া কিশোররা যে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, একজন চিকিৎসক ছেলেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে খুব ফিট আছে।
গত ২৩ জুন ফুটবল প্রশিক্ষণের পর ২৫ বছর বয়সী কোচের সঙ্গে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ওই ১২ কিশোর মিয়ানমার সীমান্তের নিকটবর্তী একটি ফরেস্ট পার্কের থাম লুয়াং গুহা পরিদর্শনে যায়। ভেতরে প্রবেশ করার পর প্রবল বৃষ্টিপাতে গুহার কিছু অংশ পানিতে পুরোপুরি ডুবে গেলে তারা আটকা পড়ে।
তাদের উদ্ধারে দেশটির নৌবাহিনীর ডুবুরি, সামরিক বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবী ছাড়াও অন্যান্য দেশের উদ্ধারকর্মী ও বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।